আমাদের দৈনন্দিন চলার পথে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো স্মৃতি হয়ে জমে থাকে ধুলোর আস্তরণের নিচে। অন্তঃসলিলা নদীর মত হৃদয়ের অন্তঃস্তলে নীরবে-নিভৃতে বয়ে চলে। কখনো কখনো ধুলোর আস্তরণ আলগা হয়ে গেলে টুকরো টুকরো ঘটনাগুলো আমাদেরকে ভাবিত করে। মেঘ সরে গেলে হঠাৎ সূর্যের আলোর ঝলকানিতে যেমন প্রকৃতি পুলকিত হয়ে ওঠে তদ্রƒপ এরকম কিছু কিছু ঘটনা হঠাৎ করেই আমাদের মনোজগতে আলোড়ন তোলে। বালির স্তর, নুড়িপাথরের আবরণ ভেদ করে যেমন অন্তঃপ্রবাহী নদী ঝরণাধারা হয়ে বেরিয়ে আসে, তেমনি আমাদের স্মৃতির কুয়াশা ভেদ করে দ’ুচারটা ঘটনা উচ্ছল ঝরণাধারা না হোক, ক্ষীণ পাহাড়ি জলধারার মত নেমে আসে। এমনি কিছু নিতান্ত ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বহতা জীবনের নানা ঘটনার সাথে মিশেল দিয়ে পরিবেশন করা হয়েছে আমার দ্বিতীয় গ্রন্থ ‘অন্তঃপ্রবাহ’-এ। এর প্রায় সবগুলো লেখাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতঃপূর্বে প্রকাশিত। দু’চারটে লেখা ‘যায় সময়’ নামক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘যায় সময়’-এর সম্পাদক ও প্রকাশককে এজন্য ধন্যবাদ। কারুবাক-এর স্বত্তাধিকারী জনাব গোলাম কিবরিয়া সহ যারা আমাকে এ বই প্রকাশের কাজে উৎসাহ যুগিয়েছেন তাদের সবাইকে ধন্যবাদ।
অন্তঃপ্রবাহ
Original price was: 10.00৳ .1.00৳ Current price is: 1.00৳ .
ষাটের দশকের গোড়ার দিকের কোন এক সময়ে সীমান্তের ওপারে সেনডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করার পর ভিটেছাড়া হয়ে বাবার হাত ধরে চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে যশোরের বাজুয়াডাঙ্গা গ্রামে থিতু হন। বাজুয়াডাঙ্গা বেসরকারী প্রাইমারি স্কুল থেকে প্রাথমিক বৃত্তি নিয়ে কুয়াদা হাই স্কুলে ভর্তি। অষ্টম শ্রেণিতে জুনিয়র বৃত্তি পেয়ে ১৯৮২ সালে মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে এস.এস.সি. পাশ ও যশোর সরকারি মধুসূদন কলেজে ভর্তি এবারো মানবিক বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে পাশ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হন। “বিয়ানের কাজ চাচা আমার করে ভাইটেল বেলা” ধরণে ১৯৮৮ সালের মাস্টার্স পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ১৯৯২ সালে। চার বছর সেশন জ্যামে পিছিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে মন-মনন ও কর্মেও পিছিয়ে পড়তে হয়েছে। যথারীতি চলার পথে বহুবিধ “চাচীজানের ঠেলা” খেতে খেতে এখন কর্মজী- বনের শেষ পর্যায়ে উপনীত। তিনি বর্তমানে একটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে মধ্যম সারির কর্মচারী হিসেবে কাজ করছেন। স্ত্রী ও দুই কন্যা নিয়ে তার পরিবার।
Reviews
There are no reviews yet.